চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলায় ওসমানপুর গ্রামে এক মৎস্য মরদেহ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। তার নাম আসাদুজ্জামান আসাদ।
রবিবার বিকালে দাফনের ছয়মাস পর সিআইডি পুলিশ তার লাশ উত্তোলন করে।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ১৬ জুলাই আলমডাঙ্গা উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের অজের আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান আসাদ বিষপানে আত্মহত্যা করেন। ঘটনার দিনই পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় পুলিশ থানাতে একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করে তদন্তকাজ শুরু করে। মামলাটির তদন্ত করেন আলমডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক জিয়াউল হক।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আবু হাসান মো. ওয়াহেদ আসাদুজ্জামানের মরদেহটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। ময়নাতদন্তে বিষপানের কারণে আসাদুজ্জামানের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জিহাদ জানান, আসাদুজ্জামানের মৃত্যুর ২৩ দিন পর গত ৮ আগস্ট তার স্ত্রী রেহেনা খাতুন স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগ করে আদালতে একটি মামলা করেন। পরে আদালতের নির্দেশে থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেন মামলাটি রেকর্ড করেন। এই মামলায় ওসমানপুর গ্রামের আটজনকে আসামি করা হয়।
মামলার আরজিতে বাদী জানান, মাছ ব্যবসার টাকা নিয়ে পূর্ব-বিরোধের জের ধরে আসামিরা তার স্বামীকে নির্যাতন শেষে হত্যা করেছে। হত্যার ঘটনাটি থামাচাপা দিতে মুখে বিষ দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর অপচেষ্টা চালানো হয়।
বর্তমানে আলোচিত এই মামলাটি সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন তদন্ত করছেন। তিনি জানান, এই মামলার বাদী তার স্বামীর লাশ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য গত সপ্তাহে আদালতে আবেদন করেন। আদালত তার আবেদনটি আমলে নিয়ে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে নতুন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।
এই নির্দেশের পর রবিবার বিকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফকরুল ইসলামের নেতৃত্বে সিআইডি পুলিশের একটি দল আসাদুজ্জামান আসাদের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করেন। সোমবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে মরদেহটি পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হবে।