১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | সকাল ৬:২১
Home / শিক্ষা / বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের কাঁধে অতিরিক্ত বইয়ের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের কাঁধে অতিরিক্ত বইয়ের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে

সরকার বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের বই বিতরণ করলেও পলাশবাড়ীর অভিভাবকদের অতিরিক্ত বই কিনতে বাধ্য করছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও তা অমান্য করে শিশুদের কাঁধে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত বইয়ের বোঝা। সারাদেশের ন্যায় পলাশবাড়ীতেও বছরের প্রথম দিন বিনামূল্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে সরকার বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দিলেও বাড়তি বই কিনতে বাধ্য হচ্ছে অভিভাবকরা।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের নির্ধারিত বই ছাড়াও অভিভাবকদের হাতে বাড়তি বইয়ের তালিকা তুলে দিচ্ছে বেসরকারি স্কুলগুলো। ফলে বাধ্য হয়ে শহরের বইয়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন অভিভাবকরা। এতে স্বল্প আয়ের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের অতিরিক্ত বই কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।
এক শিশু শিক্ষার্থী জানায়, তার তৃতীয় শ্রেণিতে বোর্ডের বই রয়েছে ৬টি এবং ড্রয়িং বইসহ আরও পাঁচটি। সব মিলিয়ে তার ব্যাগের ওজন ছয় থেকে সাত কেজি।’
অভিভাবকরা জানান, ‘বিদ্যালয় থেকে কিছু বইয়ের লিস্ট দেয়া হয়েছে, যেগুলো ঢাকার নীলক্ষেতে বিক্রি হয় ২০-২৫ টাকায়। অথচ পলাশবাড়ীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিদিষ্ট বিভিন্ন লাইব্রেরীতে বিক্রি হচ্ছে ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা। স্কুল কর্তৃপক্ষ বইয়ের দোকান থেকে সেট প্রতি কমিশন নিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বইয়ের লিস্ট দিয়েছে। তবে বই বিক্রেতারা জানায়, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর প্রকাশনীগুলো যোগসাজস করে পাঠ্যসূচিতে অতিরিক্ত বই যুক্ত করেছে। তাই তারা ওইসব বই বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।
পলাশবাড়ীর পিয়ারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিল্টন বলেন, শিক্ষার্থীদের উপর বাড়তি বইয়ের বোঝা যদিও সরকার এইটা নিষিদ্ধ করেছে। তবে এর উপর নজরাদারি অব্যাহত রাখলে এটা বন্ধ হবে।’
শিশুদের বইয়ের বোঝা হালকা করতে অতিরিক্ত বই না দেয়ার জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশের পাশাপাশি পরিপত্র জারি করে শিক্ষা অধিদপ্তর। পলাশবাড়ীর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল (লেবু) বলেন, ‘সরকারি নীতির বাইরে কোনো কিন্ডারগার্ডেন বা কোন প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত বইয়ের লিস্ট দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে শিক্ষা বিভাগের কাছে উপজেলায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন তথ্য নেই বলে জানা গেছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন
Share

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফল নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ...