ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১৪ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা ও চার লাখ টাকার চেক নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ধরা পড়েছেন নোয়াখালী ও জামালপুরের হাজিপুরের দুই প্রতারক।
জামালপুর সদর উপজেলার হাজিপুর ফকিরপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগীরা সোমবার রাতে ওই দুই প্রতারককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রতন মিয়ার বড় ভাই ইউসুফ আলী বাদী হয়ে জামালপুর থানায় মামলা করেছেন।
আসামিদের মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার বুরহান উদ্দিন নোয়াখালী জেলার মীর ওয়ারিশপুর গ্রামের মৃত তোফায়েল আহম্মেদের ছেলে। তার সহযোগী আমজাদ হোসেন জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের হাজিপুর ফকিরবাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। আমজাদ হোসেন ঢাকায় কাঁঠালবাগান এলাকার ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের ১৬৭ নম্বর বাসার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, নোয়াখালীর বুরহান উদ্দিন নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের ঘনিষ্ঠ লোক পরিচয়ে ও তার সহযোগী জামালপুরের আমজাদ হোসেনকে নিয়ে হাজিপুরের ফকিরপাড়ায় চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার ফাঁদ পাতে।
তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিসাব পরিচালকের দপ্তরে অফিস সহকারী পদে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব ফয়জুন্নেসা ছাত্রীনিবাসে প্রধান নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে হাজিপুর ফকিরপাড়া গ্রামের রমজান আলীর ছেলে রতন মিয়া, মিন্টু মিয়ার ছেলে নূরনবী হাসানের কাছ থেকে এবং পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেয়ার জন্য মৃত আনছার আলীর ছেলে সোহেলের পরিবারের কাছ থেকে ১৪ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ছাড়াও চাকরি প্রত্যাশীরা চার লাখ টাকার চেক প্রদান করেন। পরে তাদের দুটি নিয়োগপত্র দেয়া হয়। পরবর্তীতে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন নিয়োগপত্র দুটি ভুয়া।