পাকিস্তানের কসুরে জয়নব আনসারি নামে ছয় বছরের যে কন্যা শিশুটির ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড সম্প্রতি ব্যাপক আন্দোলনের ঝড় তুলেছে সেই হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করছে সেখানকার পুলিশ। খবর বিবিসির।
পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী একটি সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকারী হিসেবে ২৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তির নাম ঘোষণা করেন।
ঐ যুবককে সিরিয়াল কিলার হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। পাকিস্তানের পুলিশ বলছে তারা ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়ার পরই তার ওপর ভিত্তি করে ঐ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছেন।
প্রায় ১২০০ মানুষের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এক সংবাদ সম্মেলনে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দাবি করেছেন, ইমরান আলি নামে গ্রেপ্তারকৃত ঐ যুবক ইতিমধ্যেই হত্যার ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
জানুয়ারির শুরুর দিকের এই ঘটনার পর থেকেই হত্যাকারীকে ধরার ব্যাপারে ভীষণ চাপে ছিল পাঞ্জাবের পুলিশ।
গত দুই বছরে অন্তত ১২টি একই ধরনের ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে একই এলাকায়। এর আগে জানা গেছে এর মধ্যে ৬টি নিহত মেয়ের দেহে একই ব্যক্তির ডিএনএ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
গত ৪ জানুয়ারি কোরান শিক্ষার ক্লাসে যাবার পথে নিখোঁজ হয় জয়নব আনসারি।
কয়েক দিন পর তার মৃতদেহ পাওয়া যায় শহরের একটি আবর্জনা ফেলার জায়গায়।
বলা হয়, তাকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে।
ওই দিনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে জয়নবকে শেষবার জীবিত অবস্থায় দেখা গেছে। তাতে দেখা যায় একজন অচেনা লোকের হাত ধরে জয়নব হেঁটে যাচ্ছে।
জয়নব আনসারির হত্যাকাণ্ড নাড়িয়ে দেয় পুরো পাকিস্তানকেই। এই ঘটনায় দাঙ্গা-সহিংসতায় দুজন নিহতও হয় দেশটিতে।
গত ফেব্রুয়ারিতে একই ধরনের অপর এক ঘটনায় মুদাচ্ছির নামের এক সন্দেহভাজন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। এখন সে নির্দোষ ছিল কিনা সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
কেননা তার মৃত্যুর পরও জয়নবসহ একইভাবে আরো তিনটি মেয়ে খুন হয়েছে। একটি মেয়ে বেঁচে গেছে।
লাহোরে মুখ্যমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জয়নবের বাবা আমিন আনসারিও।
স্থানীয় একটি গণমাধ্যম হত্যাকারীকে তাদের পরিবারের পরিচিত বলে উল্লেখ করলেও আনসারি তা নাকচ করে দেন।
তাৎক্ষণিকভাবে দায়ী ব্যক্তি বা তার আইনজীবীর পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।