রাজধানীর বাড্ডার আফতাবনগরে কাঁশবন থেকে নাহিম নামের প্রথম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মশিউর রহমান নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই যুবক হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি পুলিশের।
শিশুর বাবা হিরন মিয়া বলেন, মশিউর আমাদের প্রতিবেশী। গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে সে আমার ছেলেকে বসুন্ধরায় ক্রিকেট খেলার কথা বলে নিয়ে যায়। দুপুর ১২টার দিকে আমি ছেলের খোঁজ নিলে তার মা বলেন নাহিমকে মশিউর বসুন্ধরায় নিয়ে গেছে। এরপর মশিউর বাসায় ফিরে এলেও নাহিম আসেনি। তখন মশিউরকে নাহিমের কথা জিজ্ঞেস করলে সে নাহিমকে নিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করে। পরে মশিউরের শরীরে রক্ত দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশের কাছে নাহিমকে হত্যার কথা স্বীকার করে মশিউর। তবে কী কারণে নাহিমকে হত্যা করে থাকতে পারে এ ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেননি হিরন মিয়া।
নিহত নাহিম রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডের ক-১২৬ নম্বর বাড়িতে থাকত। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল দ্বিতীয়। সে কুড়িল শেরেবাংলানগর আইডিয়াল স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র। তার বাড়ি নরসিংদী বেলাবো থানার নোয়াকান্দি গ্রামের। তার বাবা হিরন মিয়া পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাড্ডা থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক শিহাব বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করেছেন শিশুর বাবা হিরন মিয়া। ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রধান অভিযুক্ত মশিউর রহমান নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি তদন্ত করছেন বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক আবদুল করিম।