তালা(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি: এক সময় তালা উপজেলার নাম শুনলেই দেশের যে কোন প্রান্তের মানুষের গায়ের লোম শিউরিয়ে উঠতো। মানুষ খুন, চাঁদার দাবীতে অপহরন, চুরি, ডাকাতি ছিল নিত্য নৈমত্যিক ঘটনা। কিন্ত বর্তমান সময়ে ওই সকল দূর্নাম কে পেছনে ফেলে জনগনের বসবাস উপযোগি একটি উপজেলায় পরিনত হয়েছে তালা। ফলে উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ব্যাবসা বানিজ্যে এনে দিয়েছে প্রসারতা, শিক্ষা, সাংস্কৃতি ও ক্রীড়া ব্যাবস্থার উন্নয়ন সহ সার্বিক সকল বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলার মধ্যে তালা উপজেলার অবস্থান এখন শীর্ষে এমনটিই মনে করছেন স্থানীয় রাজনীতিক, সাংবাদিক,সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সহ তালায় বসবাসকারি সাধারন মানুষ। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহ সার্বিক সকল বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জের আন্তরিকতা ও কর্মদক্ষতার কারনে অল্প দিনের মধ্যেই এ সকল কর্মকান্ড সংঘটিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানাযায়, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ইভটিজিং, মাদকের ব্যাবহার ও বাল্য বিবাহের মতো সামাজিক অপরাধ দমনে স্থানীয় প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতিতে থাকায় সাধারন মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে নিরাপদে। তালায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে খোলা জানালা নামক ইকোপার্ক । তালা সদর সহ প্রতিটি ইউনিয়ন ভিত্তিক পুলিশি টহল ও মনিটরিং এর ব্যাবস্থা করায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও রয়েছে নিরাপদে। ইভটিজিং ও বাল্য বিবাহ ও মাদকের মতো সামাজিক অপরাধ দমনে জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এটিকে একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিনত করা হয়েছে। দূর্নীতির আখড়া হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সেটেলমেন্ট অফিস দালাল, বাটপার উচ্ছেদ করে এটিকে দূর্নীতিমুক্ত অফিস ঘোষনা করা হয়েছে।
তালা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মফিজ উদ্দীন বলেন, প্রশাসন আন্তরিক থাকলে সকল সামাজিক অপরাধ যে দমন করা সম্ভব সেটি তালা উপজেলার দিকে তাকালে বোঝা যায়।
বিষয়গুলি নিয়ে তালা থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান হাফিজুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, পুলিশের দায়িত্ব হচ্ছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিয়ে সকল অপরাধ মূলক কর্মকান্ড থেকে মানুষ কে দূরে রাখা আর আন্তরিকতার সাথে সকল কর্মকান্ডে সাধারন মানুষকে সচেতন করে অপরাধ দমনে সম্পৃত্ত করতে পারলে দ্রুত ভাল ফল লাভ করা যায়, তালা থানা পুলিশ সেটিই করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যা কিছু অর্জন তার সবটুকু কৃতিত্বের দাবিদার তালার সাধারন মানুষ। স্থানীয় সাধারন মানুষ অত্যন্ত ভালো। তারা খুব সহজেই ভালো জিনিসকে গ্রহন করতে পারে। ফলে এমন একটি জনগোষ্ঠী নিয়ে যে কোন ধরনের অপরাধ দমন ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব।