সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের প্রকল্প কাজ শুরু করা নিয়ে গাফিলতি ও প্রকল্প কাজের মান সন্তোষ জনক না হওয়ায় ধর্মপাশা উপজেলার কাইলানী ও চন্দ্র সোনার থাল হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের ১৪টি পিআইসি কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা কাবিটা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মো. মামুন খন্দকার স্বাক্ষরিত গত ছয়দিনে এসব পিআইসি কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়।
ধর্মপাশা উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাইলানী হাওরের ১১টি পিআইসি কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে গত ১৭ জানুয়ারি বরাদ্দের ২৫ ভাগ টাকার চেক হস্থান্তর করা হয়। কিন্তু চেক নিয়েও তাঁরা প্রকল্প কাজ শুরু না করায় ১১টি কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে ২৫ জানুয়ারি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাঁধের প্রকল্প বাস্তবায়ন করবেন বলে এই ১১টি পিআইসি কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেছেন। আর চন্দ্র সোনার থাল হাওরের মারাদাইরা, শয়তান খালী ও ডুবাইল বাঁধ প্রকল্প কাজের তিনটি পিআইসি কমিটির কাছে গত ২২ জানুয়ারি চেক হস্থান্তর করা হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ সন্তোষজনক না হওয়ায় ওই তিনটি প্রকল্প কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে তিনদিনের মধ্যে জবাব চেয়ে মঙ্গলবার কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা কাবিটা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মো. মামুন খন্দকার বলেন, হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ কোনো পিআইসি কমিটি নয়ছয় করার চেষ্টা করলে তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না।