আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মালদ্বীপে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ভারতকে সামরিক হস্তক্ষেপ করার আহবান জানিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহামেদ নাশিদ। তবে এই হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। মালদ্বীপের সুপ্রিম কোর্ট ইউটার্ন নিয়েছে। বিরোধীদের পক্ষে দেওয়া রায় স্থগিত করেছে সর্বোচ্চ আদালত। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার
শ্রীলংকায় নির্বাসিত সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদ গতকাল টুইট বার্তায় এক আবেদনে বলেছেন, মালদ্বীপে বর্তমানে যে সংকট রয়েছে তার সমাধানে ভারতকে ইতিবাচক ভূমিকা নিতে হবে। ভারতকে ১৯৮৮ সালের মতো যেতে এবং সমস্যার সমাধান করে চলে আসতে হবে। ভারত দখলকারী নয়, স্বাধীনতার রক্ষক। এজন্য মালদ্বীপের জনগণ ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে।
এর আগে মঙ্গলবারও ভারতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছিলেন নাশিদ। তিনি ভারতকে সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধি পাঠানোর কথা বলেছিলেন। তবে ভারত তার সেই আহবানে সাড়া দেয়নি। কিন্তু দেশটি মালদ্বীপের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। ১৯৯৮ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট গাইয়ুমের আহবানে এক অভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী পাঠিয়েছিল ভারত। পরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থিতিশীল হওয়ায় ভারতের সামরিক বাহিনী ফিরে আসে।
নাশিদের আহবানের পর চীন হুঁশিয়ারি দিয়েছে, সামরিক হস্তক্ষেপ হলে মালদ্বীপের পরিস্থিতি আরো জটিল হবে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গ্যাং শুয়াং বলেছেন, মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বাইরের দেশের হস্তক্ষেপ করা ঠিক হবে না। প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিনের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক গভীর। সোমবার প্রেসিডেন্ট দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট গাইয়ুম ও প্রধান বিচারপতিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের মুক্ত তিন বিচারপতি আগের রায় সংশোধন করেন। তারা বলেন, বিরোধী ৯ নেতাকে মুক্তির আদেশে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তাদের খালাস বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন বিচারপতিরা। এর আগে পহেলা ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট নাশিদসহ ১৪ বিরোধী নেতাকে খালাস দিয়েছিল। এরপরই দেশটিতে সংকট সৃষ্টি হয়। প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনেন।