১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | রাত ৯:৩৬
Home / অর্থনীতি ও বানিজ্য / উলিপুরের ৭শত নারীকে আলোর দিশা দেখিয়েছে নারী সংগঠক ফরিদা ইয়াসমিন

উলিপুরের ৭শত নারীকে আলোর দিশা দেখিয়েছে নারী সংগঠক ফরিদা ইয়াসমিন

সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম থেকে : উলিপুরের ৭শত নারীকে আলোর দিশা দেখিয়েছে নারী সংগঠক ফরিদা ইয়াসমিন। কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় অসহায় সাতশত নারীকে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে আলোর দিশা দেখিয়েছে নারী সংগঠক ফরিদা ইয়াসমিন। শুধু পরিবারে কোণঠাসা নারীদের নয় তিনি অবহেলিত সোনালী আঁশ পাটকে বিশ্ব দরবারে জনপ্রিয় করে তুলতে ফুটিয়ে তুলছেন নানান কারু কার্যময় সম্পন্ন দ্রব্যাদি। ইতোমধ্যে তা রপ্তানি হচ্ছে দেশ থেকে বিদেশে।

ফরিদা ইয়াসমিন জানান, কর্মহীন নারীদের কাজের সুযোগ তৈরি করে দিতে ২০১৪ সালে নারী (নারী এসোসিয়েট ফর রিভাইভার ইনিসিয়েটিভ) নামে একটি সংগঠন খোলেন উলিপুর-চিলমারী সড়কের রামদাস ধণিরাম পাড়ায়। এসব নারীদের সহযোগিতায় পাট শিল্পকে দৃষ্টিনন্দন ব্যবহার্য উপযোগী করে পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে রূচিশীল মানুষের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হন তিনি।

এরপর অনেক কষ্ট করে তিনশটি তাঁত কিনে পুরোদমে শুরু করেন ছোট্ট কারখানার কাজ। তারপর খোলেন শোরুম। পাশাপাশি বিভিন্ন শিল্প মেলায় অংশগ্রহণ করে বায়ারদের মাধ্যমে বাজারজাত করার চেষ্টা করেন। এভাবেই ধীরে ধীরে আশপাশের বিধবা, তালাক প্রাপ্ত, স্বামী পরিত্যক্তা ও হতদরিদ্র নারীদের সংগঠিত করে কাজের সুযোগ তৈরি করে দিয়ে তাদের পরিবারে সচ্ছলতা আনার চেষ্টা করেন।

এই উদ্যোক্তা আরও জানান, আমরা নারী উদ্যোক্তারা অনেক কষ্ট করে এগিয়ে যাচ্ছি। সরকারের বিভিন্ন ব্যাংকগুলো নারী হওয়ার কারণে আমাদেরকে ঋণ প্রদানে অনীহা প্রকাশ করে। ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ঘুরে শেষ পর্যন্ত সম্পদ বিক্রি করে আমাদেরকে সামনে এগোতে হয়।

তার সংগঠনে কাজ করা শাহিনা, সেলিনা ও শেফালী জানান, পরিবারে আমরা লাথিগুঁতা খেয়ে এককোণে পরে ছিলাম। এখন এই কাজের মাধ্যমে সমাজে আমাদের সম্মান এখন বেড়েছে। এখান থেকে মাসে আমরা ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা বেতন পেয়ে পরিবারকে সহযোগিতা করছি।

অন্য মহিলারা জানান, আগে কাজ ছিল না। খুব কষ্টে দিন কাটাতে হতো। এখন কাজ পেয়ে সংসারে শান্তি এসেছে। ছেলে-মেয়েকে পড়াতে পারছি। নিজস্ব থাকার ঘর তৈরি করতে পেরেছি। অসুস্থ স্বামীর পাশে দাঁড়াতে পারছি।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি রওশন আরা চৌধুরী জানান, বাংলাদেশে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে সরকার তৃণমূল পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি করছে এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করছে। আরও অধিক সংখ্যক নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে সরকারের সহযোগিতা চান এই নারী নেত্রী।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন জানান, নারীর ক্ষমতায়নে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে। নারীরাও বিভিন্ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হয়ে পরিবারে সহযোগিতা করছে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিল্পের মাধ্যমে তারা অগ্রসর হচ্ছে। সরকারও নানাভাবে তাদের সহযোগিতা করছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন
Share

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

কালাইয়ে ইউডিসি উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

জয়পুরহাটের কালাইয়ে ইউএনও কার্যালয়ের একটি অফিসে (৬মাস) ধরে এক তরুনীকে উপজেলা ডিজিটাল ...