পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বাউফলে জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে꫰
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার মদনপুরার ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোহরাব খানের ঘরের উত্তর পাশে একই গ্রামের মৃত মোশলেম হাওলাদারের ছেলে স্কুল শিক্ষক শহিদুল ইসলাম (জামাল) এর উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে꫰ তিনি মদনপুরা ইউপির দরগাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক꫰
স্থানীয় সূত্রে থেকে জানা গেছে, বিগত আট বছর আগে একই এলাকার মৃত ফয়জর আলী গাজী জীবিত থাকা অবস্থায় তার নিকট হইতে ১৩.৩২ শতাংশ জমি কবলা করেন মৃত মোশলেম হাওলাদার এর ছেলে স্কুল শিক্ষক শহিদুল ইসলাম (জামাল) ক্রয় করে ভোগদখল করিয়া আসিতেছে। ফয়জর আলী মারা যাওয়ার পর তার ছেলেরা ওই জমি জোরপূর্বক ভোগ দখলের চেষ্টা করলে কবলা সূত্রে মালিক ওই স্কুল শিক্ষক (জামাল) বিগত ৫/৯/১৯ ইং তারিখে বাউফল থানায় সাধারন ডায়েরি করেন। তারই সূত্রে স্থানীয় শালিসগন আপোষ মিমাংসা করে দেন, সেই শালিস মিমাংসাকে অমান্য করে ওই শিক্ষকের জমিতে ধান কাটতে বাধা প্রদান করে এবং এলোপাথারি মারধর করে।পরে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় শিক্ষক জামালকে উদ্ধার করে উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।অভিযুক্ত আলম গাজী জানান, আমার বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় দুই দাগে ১৩.৩২ স্থানীয় মাপের চার কড়া জমি বিক্রি করে, কিন্তু তিনি সেখানে ভোগদখল না করিয়া তার জমির পাশে থাকা আমাদের চার কড়া জমি দখলের পায়তারা চালায়।এব্যাপারে স্থানীয় শালিসগন জানান, আমরা কাগজপত্র দেখে রোয়েদাদের মাধ্যমে শিক্ষক জামালকে জমি বুঝিয়া দিয়ে মিমাংসা করে দিয়েছি꫰ এখন কি কারনে এ ঘটনা ঘটেছে তা আমরা জানিনা। এবিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, শালিস মিমাংস করে দিয়েছে তা আমি জানি এবং এব্যাপারে আমি তাদেরকে বলেছি তারা যেন এনিয়ে আর বারাবারি না করে, কিন্তু এখন শুনেছি জামাল মাষ্টারকে মারধর করেছে দুরে থাকার কারনে আমি দেখতে যাইতে পারিনি।