মির্জাগঞ্জে সিয়াম হত্যার একবছর পূর্তি উপলক্ষে আসামিদের ফাঁসি চেয়ে মা –বাবা ও এলাকা বাসির মানববন্দ্বন।
Posted by: admin
in বরিশাল বিভাগ
জানুয়ারি ২৬, ২০২০
94 Views
মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে মায়ের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমিকের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত দেখে ফেলায় গত ২৬/১/২০১৯ ইং শিক্ষার্থী সিয়াম মাহমুদকে (১১) হত্যা করা হয়েছে ।হত্যায় জরিত আসামিদের ফাঁসি চেয়ে গতকাল রোববার মির্জাগঞ্জ সুলতানাবাদ গ্রামে মা,বাবা ,সহ পার্টি ও এলাকাবাসি ফাঁসি চেয়ে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে সিয়ামের বাবা বলেন,সিয়াম একজন ছোট শিশু, একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল।তাকে মানব রুপিপশু হত্যা করেছে আমি এর সঠিক বিচার চাই।আমি তাদের সকলের ফাসি চাই।হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক ওয়ার্ড মেম্বার মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে জামাল মেম্বার গ্রেফতার হওয়ার পরে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. মইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে ছিলেন । জানা গেছে, গত বছরের ২৬ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় মির্জাগঞ্জের মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের সুলতানাবাদ গ্রামের আলী আকনের পুকুরের পূর্ব পাশের ধানি জমিতে খাটাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিয়াম মাহমুদের গলাকাটা, দুই হাতের কব্জি কাটা ও ডান চোখ জখম অবস্থায় লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ২৭ জানুয়ারি মির্জাগঞ্জ থানায় নিহতের বাবা শাজাহান গাজী বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে ১৫ জুলাই সকালে মূল আসামি ৬নং মজিদবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সুপার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, মির্জাগঞ্জের শিক্ষার্থী সিয়াম মাহমুদ হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে। মামলার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল আসামি সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জামাল জানায়, শাজাহান গাজী ও ইসমাইল গাজীর মধ্যে সম্পত্তির বিরোধের কারণে বারবার শাজাহান গাজীর বাড়িতে আশা যাওয়ার একপর্যায়ে শাজাহানের স্ত্রীর সঙ্গে জামাল মেম্বারের প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। তিনি আরও জানান, গত ২৫ জানুয়ারি এলাকায় ওয়াজ মাহফিল চলাকালে মাগরিবের আজানের পর জামাল মেম্বার ও শাজাহানের স্ত্রীর মধ্যে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে সিয়াম রুমের মধ্যে ঢুকে দেখে ফেলে এবং ওই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টায় থাকে। একপর্যায়ে জামাল মেম্বার আসামিদের সঙ্গে আলোচনা করে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে সিয়ামকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সিয়ামকে ঝালমুড়ি খাওয়ার কথাবলে মাহফিলে ডেকে নিয়ে যায়। ঝালমুড়ি খাওয়া অবস্থায় মাফলার দিয়ে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। পরে আলী আকনের পুকুরের পূর্ব পাশের ধানি জমিতে মাফলার দিয়ে বেঁধে সিয়ামের গলা ও দুই হাতের কব্জি কেটে চলে যায়। তিনি আরও জানান, দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য সহযোগীদের আইনের আওতায় আনতে বিশেষ অভিযানচালিয়ে আরো দুই আসামি মো:শহিদ হাওলাদার এবং কালাম ওরফে খোড়া কালাম কে গ্রেফতার করা হলে ও পলাতক রয়েছেন এখনো তিনজন। তার মদ্ব্যে রয়েছে রুহুল আমিন হাওলাদার, জাহিদ হাওলাদার ও শহিদ বিশ্বাস।এলাকাবাসি উপরস্থ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন,যারা সিয়াম হত্যায় জরিত তাদের বাকি আসামিদের খুজে বের করে আইনের আওতায় এনে সকল আসামিকে ফাঁসির দাবি জানান। এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানা অফিসার ইন চার্জ এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন,আমরা প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছি অন্য দুই আসামিকে ঢাকা থেকে গ্রেফ করে নিয়ে এসেছি এবং বাকি আসামিদের কে গ্রেফকরে আইনের আওতায় আনার পূর্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।তাদের গ্রেফতারে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা আসাবাদি তাদের খুব দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হব।
২০২০-০১-২৬