মোঃ মুজাহিদুল ইসলামঃ দেশের সর্ববৃহৎ সিটি কর্পোরেশন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন। ৪০ লক্ষেরও অধিক মানুষের বসবাস এই সিটি কর্পোরেশনে। এত লোকের বসবাস মাথায় রেখে ২০১৮ সালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয় এই মহানগরীতে। শিল্প অধ্যুষিত এলাকায় রয়েছে বিসিক শিল্প নগরী। ঘনবসতিপূর্ণ এই সিটির মানুষের জীবনে নেমে এসেছে দুর্বিষহ নাভিশ্বাস। মশার উপদ্রবে জনজীবনে অতিষ্ট।
এই অবস্থান থেকে মুক্তি পাবার জন্য অন্তত দায়সার ভাবে হলেও সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে যেনো মশার উপদ্রব থেকে বাঁচার ব্যবস্থা করা হয় সেই দাবী মহানগরবাসীর।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য পরিদর্শক মদন চন্দ্র দাস পর্দার আড়ালে ২৪ ডটকম প্রতিনিধিকে জানান, মহানগরে মশক নিধন ফগার মেশিন সংখ্যা ৩৫ টি, কিন্তু ৩০ টি ফগার মেশিন ব্যবহার হচ্ছেনা, তবে ৫ টি ফগার মেশিন টঙ্গী ও জয়দেবপুর শহরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ব্যবহার হচ্ছে। চলতি বছরের মে মাস থেকে নগরব্যাপী মশক নিধন কার্যক্রম শুরু হতে পারে বলে জানান তিনি।
মহানগরীর টঙ্গী এলাকার কয়েকজন বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, টঙ্গীতে দিন-রাত মশার উপদ্রবে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠছে। মশার কয়েল জ্বালিয়েও পরিত্রান মিলছেনা। তারা আরও জানায়, শাখা সড়কগুলোর ড্রেনেজ ব্যবস্থা নাজুক, যত্রতত্র সুয়ারেজের পানি আর এসকল কারণে সন্ধ্যার পর মশার উপদ্রবে রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলা করাও মুশকিল।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এস,এম সোহরাব হোসেন পর্দার আড়ালে ২৪ ডটকম প্রতিনিধিকে জানান, কাউন্সিলররা জনপ্রতিনিধি, মশা নিধন তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য, তারা কেন ব্যবস্থা নেয়না। ফগার মেশিন ও ঔষধ দিতে আমরা প্রস্তুত।