পর্দার আড়ালে ২৪.কম ডেস্ক!!
কেরালায় গর্ভবতী হাতিকে যেভাবে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে, তাতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ভারতের বহু মানুষ। সরব হয়েছেন তারকারাও। এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে সাংসদ ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকেও।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও ভারতের কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর কে খোলা চিঠি লিখেছেন মিমি। যেখানে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধির আবেদনও করেছেন সাংসদ, অভিনেত্রী মিমি।
খোলা চিঠিতে মিমি লিখেছেন, গোটা দেশের অসংখ্য মানুষের মতো নৃশংসভাবে হাতিটিকে মেরে ফেলার ঘটনায় আমিও মর্মাহত। কেরালার পাল্লাকর জেলায় যেভাবে বিস্ফোরক ভর্তি আনারস খাইয়ে হাতিটিকে মারা হলো তাতে দেশের নাগরিক হিসাবে, পশুপ্রেমী হিসাবে লজ্জায় আমার মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে। আমি জানি কেরালা সরকার দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেবে।
তবে কেরালায় এই ঘটনা প্রথম নয়। গতমাসেও একটি হাতির চোয়াল ভেঙে মৃত্যু হয়েছে। হাতিরা রোজ কিলোমিটারের পর কিলোমিটার হেঁটে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায়। তাই ঠিক কোথায় এধরনের ঘটনা ঘটছে সেটা চিহ্নিত করা খুবই মুশকিল। সবসময় সঠিক তথ্যও পাওয়া যায় না। তবে শুধু হাতি নয়, কেরালার ওই অঞ্চলেও অন্যান্য প্রাণীকেও হত্যা করা হয়েছে। এমনকি কুকুরকে পিটিয়ে মারা হয়েছে, বিড়ালকেও গলায় ফাঁস আটকে মারার মতো ঘটনাও কেরালায় ঘটেছে।
মিমি আরও লিখেছেন, অনেক সময় চাষীরা ফসল রক্ষা করতে ফলের মধ্যে এভাবে বাজি ঢুকিয়ে রাখে। তাই এই সমস্যার সমাধান করতে হলে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে মানুষকে বোঝাতে হবে।
শুধু সাজা দিলেই এই সমস্যা মেটার নয়। ১৯৬০ সালের পশু সুরক্ষা আইন ও ১৯৭২ সালে বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন কার্যকর করার পরও বন্যপ্রাণীদের হত্যা আটকানো যায়নি। তাই সচেতনা প্রচারই করা উচিত। মানুষকে বোঝাতে হবে। এমনি আমাদের শিশুদেরও পশুপাখিদের প্রতি ভালোবাসার কথা শেখাতে হবে। প্রয়োজনে পরিবেশ বিদ্যার শিশুদের পাঠ্যবইতে এগুলি পড়াতে হবে।
মহাত্মা গান্ধীর প্রসঙ্গ এনে মিমি লিখেছেন, মহাত্মা গান্ধী ঠিকই বলেছিলেন, কোনও জাতির মাহাত্ম্য এবং তার নৈতিক অগ্রগতি বিচার করা যায় তারা কীভাবে পশুপাখিদের সঙ্গে আচরণ করে তা দেখে।
আশাকরি কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় মিলেই এবিষয়ে পদক্ষেপ করবে।
স্বরণীয়, কেরালায় নৃশংসভাবে গর্ভবতী হাতিকে হত্যার ঘটনার খবর শুনে আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন সাংসদ ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।