জিহাদ হোসেন, মনপুরা উপজেলা প্রতিনিধি!!
১নং মনপুরা ইউনিয়ন, এক ঐতিহ্যবাহি এলাকা। শিক্ষা, রাজনৈতি, ব্যবসা-বানিজ্য, জীবনযাত্রাসহ সকল বিষয়ে অন্যান্য ইউনিয়নের চেয়ে এগিয়ে থাকা ইউনিয়নের বর্তমান লঞ্চ ঘাট ১নং মনপুরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পূর্ব পাশে অবস্থিত। আগে মনপুরা উত্তর পাশে লঞ্চ ঘাট ছিল। নদী ভাঙ্গন রোধে ব্লক দেওয়ার কারনে লঞ্চ ঘাট এখানে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু যেখানে মানুষ নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সেখানে লঞ্চ দাড়া ভেঙ্গে যাচ্ছে শত শত বিঘা জমি।
মনপুরার মানুষ বেড়িবাঁধের উপর ভর করে চলতে হয়, বেড়িবাঁধ যদি ভেঙে যায় পুরো এলাকা পানির নিচে চলে যাবে।
বর্তমানে, লঞ্চটি ঘাট করছে সেই বেড়িবাঁধের সাথে। এক দিকে এই লঞ্চ দাড়া এখানকার বানিজ্যিক উপকার হচ্ছে ঠিকই কিন্তু অন্য দিকে ভূমির সাথে লঞ্চ ভিড়ার কারণে ক্ষতি হচ্ছে অনেক বেশি। লঞ্চের মেশিন চালু করলে পাখাগুলো প্রবল গতিতে ঘুরতে থাকে যার ফলে নিচের থাকা পলিগুলো ও মাটি দ্রুত সরে যায়, সে কারনে দ্রুত ভেঙে যাচ্ছে ভূমি। জনগন যদি জনপ্রতিনিধিদের প্রাণ হয় তা হলে সেই জনগন ও তাদের সম্পদকে রক্ষা করার দায়িত্ব জনপ্রতিনিধিদের।
এই ব্যাপারগুলো দেখার কেউ নাই, এমটাই বললেন একজন ভুক্তভোগী নাম তার ফকরুল ইসলাম, তিনি ঐ এলাকার বাসিন্দা।
তিনি আরও বলেন, বিনয়ের সহিত বলতে চাই পন্টুন বিহীন লঞ্চ ভুমির সাথে ভিড়া কি উচিৎ হচ্ছে?
তিনি আরও বলেন, আমি কোথাও দেখিনি পন্টুন বিহীন লঞ্চ ভিড়তে, অথচ ছোট্টো দ্বীপ মনপুরা যার চার পাশে প্রবল গতিতে ভাঙছে ভূমি, সে সাথে যুক্ত হয়েছে লঞ্চ।
মনপুরা এমন একটি এলাকা যার চারপাশ নদী দিয়ে ঘেরা। এই নদী তাদের আয়ের প্রধান উৎস। আবার এই নদী তাদের করে ফেলে সম্বলহীন। বিভিন্ন সময় নানান ধরনের ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও বন্যায় ক্ষতিগস্থ হচ্ছে এলাকা ও এলাকার মানুষ। এই নদী ভাঙনে অনেকটাই দিশেহারা এখানকার মানুষ।
আবার বেড়িবাঁধ ছাড়া তারা হয়ে যায় জলাবদ্ধ। আর তাই, তাদের স্বপ্ন নদী ভাঙন রোধ ও দীর্ঘ মেয়াদি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মান।
ভুক্তভুগিরা ও এলাকার জনসাধারণ জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, আপনারা চুপ করে থাকবেন না, কারন জনগন আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছেন। আপনারা পন্টুনের ব্যবস্থা করুন।
পন্টুন থেকেও না থাকার মত। দ্রুত পন্টুন মেরামত করুন। এ ভাবে চলতে থাকলে মনপুরাকে টিকানো সম্ভব হবেনা। তাই আপনাদের বলছি দেশের স্বার্থে আপনারা এ বিষয়গুলো নিয়ে সাধারণ জনগনের পক্ষে কাজ করবেন। সাধারণ জনগন, মনপুরা উপজেলা চেয়ারম্যান ও মনপুরা নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে, বিষয়টা তাদের আমলে নেওয়ার জন্যে।