নাসরিন পারভীন মিমি!!
ঢাকা জেলার প্রধান শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার ভাদাইল উত্তর পাড়া সাধু মার্কেট এলাকায় সাংবাদিক মোঃ রফিকুল ইসলামের মালিকানাধীন পারুল ডিপার্টমেন্ট স্টোরে রাতের আঁধারে এক দল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি ভাংচুর সহ মালামাল লুট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১৭) জুন ভোর রাতে আনুমানিক আড়াইটার দিকে আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্য রফিকুল ইসলামের মালিকানাধীন পারুল ডিপার্টমেন্টে রাতের আঁধারে, একদল সন্ত্রাসী এ নেক্কার জনক ঘটনা ঘটায়। হামলার ঘটনায় দোকানের দুইটি সিসি ক্যামেরা, তিনটি ফ্রিজ ও গ্যাস সিলিন্ডারসহ দোকানের সামনে রাখা মালামাল লুট ও ভাঙচুর করে দোকানের শাটার ভাঙ্গারও চেষ্টা করে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা।
সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম জানায়, সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখা গেছে, এ ঘটনার সাথে জড়িত সাত্তার মুন্সীর ছেলে সুমন, জাকির, রাসেল, কাদের ঝুটের গোডাউনে কর্মরত কর্মচারীসহ সাত/আটজন যুবক দেশি অস্ত্র সস্রে সজ্জিত হয়ে আমার দোকানে হামলা চালিয়ে দুটি সিসি ক্যামেরা তিনটি ফ্রিজ গ্যাস সিলিন্ডার ভাঙচুর করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
হামলার সময় উপস্থিত মার্কেটের সিকিউরিটি গার্ডের কাছে জানতে চাইলে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়।
সিকিউরিটি গার্ড জানান, উক্ত হামলার সময় অভিযুক্ত সুমনের পিতা সাত্তার মুন্সি ঘটনাস্থলে এসে ভাঙচুর করতে বাঁধা প্রদান করেন বলেও আমাকে জানিয়েছেন সিকিউরিটি গার্ড।
দোকানের মালিক রফিকুল ইসলাম আরও বলেন ঘটনাটি জানার পর আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক এসআই নাহিদ ও মেম্বার আবু সাদেক ভূঁইয়া ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন। এবং তারা বলেছেন, সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে বসে মীমাংসা করবেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতরা ইতিপূর্বেও আমার প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সময়ে নানান ভাবে ক্ষয়ক্ষতির চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং তারা বিভিন্ন সময় আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। আমি আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের একজন সদস্য হিসেবে আমার ক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদককে বিষয়টি জানাই। তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে আমাকে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
এ হামলার ঘটনায় আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি শাহ আলম বলেন, এ ধরনের হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় আমরা সাংবাদিক মহল উদ্বিগ্ন।
তিনি আরো বলেন, অনতিবিলম্বে হামলার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদান করতে হবে অন্যথায় মানববন্ধন সহ কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ধামসোনা ইউপির ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবু সাদেক ভূঁইয়ার কাছে হামলা ও লুটের ব্যাপারে জানতে চাইলে, তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম দেখেছি ব্যাপক ভাঙচুর হয়েছে। এ ব্যাপারে গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সন্ধ্যার পরে একটা বিচারের ব্যবস্থাকরেছি।
এ হামলার ঘটনায় আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক বাবুল খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিল আহমদসহ আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের অন্য সদস্যরা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন এবং তার সকলে এ ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার সুষ্ঠ বিচার ও কঠোর শাস্তি দাবি করেন।