৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | সকাল ১০:৪১
Home / রাজনীতি / একজন আলী আজম মুকুল এমপি

একজন আলী আজম মুকুল এমপি

মোঃ সাইফুল ইসলাম আকাশ, বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রতিনিধি!!
একজন মানুষের বড় সার্থকতা জীবনের পরম পাওয়া এবং সফলতা হলো, একটি অঞ্চলের আর্থ সামাজিক কাঠামো ও রাজনৈতিক দর্শনে মানুষের মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন আনা। একই সঙ্গে উন্নয়নে, সমৃদ্ধিতে পরিবর্তনের সেই ধারা ধরে রাখা। বলিষ্ঠ নেতৃত্বই সেই সফলতার মূল চাবিকাঠি। আর সেই সফল মানুষটি হলেন,ভোলার মাটি ও মানুষের নেতা গরিবের বন্ধু, অসহায় আর পথহারা মানুষের পথপ্রর্দশক আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল এমপি।

আলী আজম মুকুল রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। বাবা আলী আশরাফ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ছিলেন রাজনৈতিক সংগঠকও। তার চাচা জাতীয় নেতা সাবেক
ডাকসু ভিপি, সাবেক বানিজ্য মন্ত্রী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রী পরিষদের সদস্য সচিব আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ এর মাধ্যমে তিনি গড়ে উঠেন আর্দশ রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসাবে। আলী আজম মুকুল ছাত্রজীবন থেকেই তার চাচা জননেতা তোফায়েল আহমেদ এর মাধ্যামে রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের প্রতিটি কার্যক্রমে ছিলেন সবার সামনে।
পদ নিয়ে কখনো ও মাথা ব্যথা ছিল না এই সংসদ সদস্য। সবসময় ভাবতেন পদের চেয়ে দল বড়। তিনি সবসময় বাস্তবকে বিশ্বাস করতেন বর্তমানে ও দেখা যায় তিনি যা বলেন, তাই করেন। মানে নগদ কথা বলেন, নগদে কাজ করে দেখিয়ে দেন। যে যাই বলুক না কেন, তিনি বাকির খাতায় কোনো কাজ বা কথা ফেলে রাখেন না। এজন্য আমজনতা গরিব-বৃদ্ধ সবাই তাকে ভালোবেসে মুকুল বাবা বলেও ডাকেন।
জানা যায়, বর্তমানে মরনব্যাধী করোনা ভাইরাসে যেখানে মা-বাবা থেকে সন্তান পৃথক হয়ে যায় সেখানে এই সংসদ সদস্য জনগনের সেবক হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, মোট ৩৬০০০ গরিব আর অসহায় পরিবারকে সহযোগিতা করেছেন তিনি মহামারি করোনা ভাইরাসে তিনি।ঘুর্নিঝড় আম্পানে দৌলতখান হাজীপুর ও ভবানীপুর চরে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে সহযোগিতা চালিয়ে গিয়েছেন তিনি বলেন তা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ভোলার জনগন তাকে মানবতার ফেরিওয়ালা উপাধিতে ভূষিত করেন কথিত বোরহানউদ্দিন এর দুই নারী বৃদ্ধ ভিক্ষুককে ভিক্ষা পেশা থেকে অবসর গ্রহন করিয়ে মুজিব বর্ষের ২টি ঘর উপহার দিয়েছেন এবং মায়ের মর্যাদায় অধিষ্টিত করে আমৃত্যু ভরপোষন চালিয়ে যাবেন বলেছেন আলী আজম মুকুল।
আবার তিনি প্রতিনিয়ত থাকছেন জনগনের পাশে কিছুদিন আগে ভোলা দেউলা ইউনিয়ন এ সহযোগিতা করে ফেরার পথে সাচরা ইউনিয়ন এ তার পথ আগলে দাড়ায় এক বুড়ি মা,সাথে সাথে তিনি গাড়ি থেকে নেমেই তাকে জড়িয়ে ধরেন মা বলে পরে নগদ অর্থ প্রদান করে হাসিমুখে বিদায় দেন তাকে।যেখানেই তিনি বৃদ্ধ কাউকে দেখেন সেখানেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।জানা যায় তার বাবা ও মা তাকে ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমিয়েছে ১৯৭৫ সালে এবং ২০০১ সালে সেগুলো ভুলে থাকতেই তিনি মা-বাবার ছায়া হিসাবে নিয়েছেন জনগনকে। এছাড়া ও জনগনের আস্থা আর ভালোবাসার প্রতীক হিসাবে সবাই দেখছে তাকে।করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া হাজার হাজার হতদরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী ও পৌছে দিয়েছেন এই সংসদ সদস্য। তিনি ছোট-বড় সবার সাথে চলছে সাধারণ ভাবে। যেখানেই অসহায় মানুষ সেখানেই ছুটে যান তিনি দেখেন না কে কোন দলের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন সাথে সাথে। সবাই দলমত নির্বিশেষে ভালোবেসে যাচ্ছেন তাকে।

এই সংসদ সদস্য চলেন সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে, অন্য মন্ত্রী এমপিরা যেখানে নির্দিষ্ট সময়ের কয়েক ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সেখানে তিনি ঘড়ির কাঁটা মেনে হাজির হন। এমন অনন্য চলন, স্পষ্টবাদীতা, ভালোকে ভালো বলে পুরষ্কৃত করা, খারাপকে খারাপ বলে তিরষ্কার করার সৎ সাহস ধারণ করা, নিত্য গণমানুষের জন্য কল্যাণমুখী রাজনীতির চর্চা করা, নগদ সিদ্ধান্ত, নগদে সাফল্যে আজ তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনেও বেশ আলোচিত

বিশেষণ, এতো আলোচনা, এতো সাফল্য। এগুলো তো একজন মানুষের জীবনে একদিনে অর্জিত হয় না। বিশেষ করে নিত্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা মুখর রাজনীতির মাঠে। যেখানে পক্ষ-প্রতিপক্ষ দুইপক্ষেরই আতশ কাঁচের নিচে থাকতে হয় সৎ সাহসী রাজনীতিবিদকে। এখানেই একজন আলী আজম মুকুল। তিনি রাজনীতিতে এসেছেন গণমানুষের পাশে থাকতে, তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হতে। এক সময় রাজনৈতিকভাবে বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখানকে মানুষ চিনত বিএনপির ঘাটি বলে। জেলার অন্য সংসদীয় আসনগুলোতেও আওয়ামী বিরোধীদের পাল্লাই ভারী থাকতো। সেই ধারাকে পুরোপুরি আমূল পাল্টে দিলেন একজন আলী আজম মুকুল। এখন বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান সহ পুরো ভোলা জেলাকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বলেই পরিচিতি লাভ করেছে।ভোলার গ্রামগঞ্জে ঘুরে এলে বোঝা যায়। আপনি আমি ঘুরে আসার আগেই তিনি তৃণমূলে ঘুরে ঘুরে জনপ্রিয়তা ও সাধারণ মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছেন। আগের দিনে খলিফা, রাজা, বাদশাহরা রাতের অন্ধকারে প্রজাদের অভাব-অনটন, দুঃখ-দুর্দশা দেখতে বের হতেন। এ যুগে আলী আজম মুকুল একজন সংসদ সদস্য হয়েও কোনো প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিয়ে একা মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়ে যান গ্রামের পথে পথে। খোঁজ খবর নেন সাধারণ মানুষ,তৃণমূলের নেতাকর্মীদের।

রাজনীতিতে এমপি আলী আজম মুকুল হঠাৎ উড়ে এসে জুড়ে বসা কোনো অতিথি পাখি না। তিনি দৌলতখানের পৌরসভার ২বছর ১১মাস ২৮ দিন সফলভাবে মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সময় নিয়ে, উদ্দেশ্য নিয়ে, লক্ষ্য ঠিক করে পরিকল্পনা করে গণমানুষের রাজনীতি করতে এসেছেন।
তিনি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। অর্থ বিত্তে পূর্ব থেকেই সমৃদ্ধ। বেছে নিতে পারতেন আরাম-আয়েশ, ভোগ-বিলাসের জীবন। কিন্তু চাচা তোফায়েল আহমেদের মতো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করা শেখ হাসিনার কর্মী হয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তার পদচারণা শুরু হয়। জনগনের সাথে সরাসরি সম্পর্কের সেতুবন্ধন স্থাপন করেন তিনি। বিএনপির শাসনামলে ১৯৯১ এবং ২০০১ সালে একটি মিথ্যাএবংষড়যন্ত্রমূলক হত্যা মামলা সহ ২২টি মামলার আসামী ছিলেন।এত ঝুঁকিতে থাকা সর্তে ও তিনি তখন ও অত্যাচার নির্যাতনের শিকার বঞ্চিত নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। তাদের উৎসাহ দিয়েছেন রাজনৈতিক একটি পরিবর্তনের জন্য। সেই পরিবর্তন এলো ২০১৪সালে এবং সেই পরিবর্তনের অংশীদার হলেন তিনি। দল তার নেতৃত্বের দক্ষতা ও কাজের মূল্যায়নে সংসদ সদস্য হিসেবে

হিসেবে ভোলা ২ আসন তাকে মনোনয়ন দেয় এবং তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে প্রতিপক্ষকে পরাজিত করে বিজয় লাভ করে ভোলার রাজনীতির অঙ্গনে নতুন ধারার সৃষ্টি করেন।

আলী আজম মুকুল যখন সংসদ সদস্য ছিল না তখন দলের কিছু বিপথগামী নেতাকর্মী সন্ত্রাসী কার্যকলাপের হানাহানি, চাঁদাবাজিতে মেতে ওঠে। এতে সেই সময় শান্তির জনপদ ভোলা অশান্ত ও অস্থির হয়ে ওঠে। পরবর্তী সময়ে ২০১৪ সালে আলী আজম মুকুল সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, আওয়ামী লীগও পুনরায় সরকার গঠন করে। আলী আজম মুকুল তার প্রথম লক্ষ্য নির্ধারণ করেন সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত বোরহানউদ্দিন এবং দোলতখান গড়ে তুলার। অদ্যাবধি গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া দৃশ্যামান কোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বা চাঁদাবাজির ঘটনা নেই।
ভোলা জেলায় বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়কে একটি আধুনিক কমপ্লেক্স ভবন হিসেবে গড়ে তুলেছেন আলী আজম মুকুল এমপি এখানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের সকলের জন্য আলাদা আলাদা বসার ব্যবস্থা করেছেন। তিনি ভোলা জেলায় অবস্থান কালে এই কার্যালয়ে বসে প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা সময় বিভিন্ন শ্রেণীপেশার সর্বস্তরের মানুষের সমস্যার কথা শোনেন। সমাধানরে চেষ্টা করেন।

আলী আজম মুকুল বলেন, আমি স্বাধীন বাংলার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন সৈনিক। জননেত্রী সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার একজন কর্মী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সস্য সাবেক বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আমার রাজনৈতিক অভিভাবক। তার পরামর্শে আমি ভোলা বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখানের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে আধুনিক একটি জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার কাজ করে যাচ্ছি।তিনি বলেন, মুখের কথা নয়, আমি প্রমাণ দিতে চাই কাজে। আর এটা বিশ্বাস করতে হলে, এই পরিবর্তনের চমক দেখতে হলে তাদের সাথে কথা বলুন, যারা গত এক দশক বা এক যুগ পর বিদেশ থেকে নিজ জেলা ভোলায় এসেছেন। তাদের চোখের দিকে তাকালেই আপনি বুঝতে পারবেন, উন্নয়নের ধারায় ভোলার পরিবর্তন কতটা এসেছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে চল্লিশ বছরে ভোলা ২আসনে উন্নয়নে যে কাজ হয়েছে, আমার সময়ে আমি মাত্র ৭ বছরে তার থেকে দশগুণ বেশি উন্নয়ন কাজ করেছি।

আলী আজম মুকুল এমপি বলেন আরো বলেন, আমি আমার নেতা তোফায়েল আহমেদ সহ ভোলা জেলার বর্তমান আওমীলীগ মনোনীত সংসদ সদস্যগণ ভোলার উন্নয়নের জন্য বড় বড় প্রকল্প নিয়ে এসেছি। ভোলার প্রধান যাতায়াত কেন্দ্র ভোলা হাইওয়ে থেকে চরফ্যাশন হাইওয়ে পর্যন্ত সড়ক পথ নির্মান করেছি ।
আমি আমার দৌলতখান এবং বোরহানউদ্দিন এ মেঘনা এবং তেতুলিয়া নদীর ভাঙ্গন রোধে বেরিবাঁধ নির্মান করেছি ।বোরহানউদ্দিন এ বিদ্যুৎ এর ঘাটতি মিটাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য পাওয়ার প্লান্ট ও বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র নির্মান করেছি,পৌরসভার প্রতিটি বাসায় গ্যাস সরবরাহ করার ব্যবস্থা করেছি। ভোলা জেলা একদিন এক উচ্চতায় অধিষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আলী আজম মুকুল পরিশেষে বলেন, আমার লক্ষ্য আরো লম্বা, আমার স্বপ্ন আরো বড়, বিস্তৃত। আমি শুধু ভোলা ২ আসন নয়, আমি সারাদেশের মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই। আমি নৌকার একজন দক্ষ মাঝি হয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে, সমৃদ্ধিও গর্বিত অংশীদার হতে চাই। আমার নেত্রী আমাকে সেই সুযোগ দিলে আজীবন সেই নৌকাই হবে আমার বাহন। আমি সবসময় সত্য পথে, সততার সাথে বাচঁতে চাই

পোস্টটি শেয়ার করুন
Share

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

ঢাকা জেলা আ. লীগের সম্মেলনের মঞ্চ প্রস্তুত, আসছেন নেতাকর্মীরা

আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ...